হেপারিন

হেপারিন জীবনরক্ষাকারী ওষুধ। আসল ওষুধের পরিবর্তে নকল হেপারিন প্রয়োগ করলে জীবন যেতে পারে। আমাদের মত দেশে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ অত্যন্ত বেশি। অথচ নকল ম্যালেরিয়ার ওষুধের কারণে হাজার হাজার মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নকল ও ভেজাল ম্যালেরিয়ার ওষুধের কারণে প্রতিবছর এক লাখ মানুষ মারা যায়। ২০০৩ সালে কম্বোডিয়ায় এক হাজার নকল ও ভেজাল ওষুধ আটক করা হয়। প্রপাইলিন গ্লাইকলের পরিবর্তে বিষাক্ত ডাই ইথালিন গ্লাইকল ব্যবহার করার কারণে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ, হাইতি, নাইজেরিয়া, ভারত ও আর্জেন্টিনাতে পাঁচ শতাধিক শিশু মারা যায়। নকল ভেজাল বা নিম্নমানের ওষুধ গ্রহণের ফলে শরীরে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়ার কারণে অনেক সময় নানা ধরনের বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ওষুধ যখন সেবন করা হয় তখন বোঝার উপায় থাকে না ওষুধটি নকল বা আসল। ওষুধ সেবনের পর কা´িখত ফলাফল পাওয়া না গেলে রোগী ভাবে তার রোগ নির্ণয় ঠিক হয়নি। তখন রোগী অন্য ডাক্তারের কাছে যায়, বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করতে গিয়ে আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত হয়। নকল ভেজাল ওষুধের কারণে শরীরে কোন বিষক্রিয়া বা ক্ষতিকর অবস্থার সৃষ্টি হলে তাকে ওষুধের এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করে রোগীকে অন্য ওষুধ প্রদান করা হয়। মূল দোষী সেই সকল ভেজাল ওষুধটি বরাবরই দৃষ্টির বাইরে থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রে নকল ভেজাল ক্ষতিকর ওষুধের কারণে কারো স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে বা মৃত্যু হলে দোষ হয় রোগের, নতুবা ডাক্তারের অথবা হাসপাতালের। আমরা খুব কমই ভাবি নকল ভেজাল, নিম্নমানের ওষুধের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ রোগী মারা যায়। আমাদের দেশের প্রায় সব বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিজস্ব ওষুধের দোকান রয়েছে। এসব ওষুধের দোকানে অভিজ্ঞ ফার্মাসিস্ট বা চিকিৎসক নেই। অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ ব্যবহারের পর লেবেল, ওষুধের কৌটা বা শিশি, মোড়ক, ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ বা গ্লাভস ব্যবহারের পর এগুলো রিপ্যাক করে বাজারজাত করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন